প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষের কাছে মাশরুম একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ মাছ ও মাংসের তুলনায় বেশি এবং প্রচলিত সবজির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। মাশরুমে আমিষের পরিমাণ আলু থেকে দ্বিগুণ, টমেটো থেকে চার গুণ এবং কমলা লেবুর থেকে ছয় গুণ বেশি রয়েছে। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল এমন সমন্বিতভাবে আছে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশু নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় ডায়বেটিক রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়, মাশরুমে রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ‘ইরিটাডেনিন’ ‘লোবাস্টটিন’ এবং ‘এনটাডেনিন’ থাকায় এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে। তাছাড়া মাশরুমে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি। এজন্য শিশুদের হাড় ও দাঁত গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কল্যাণপুরে হর্টিকালচার সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে রবিবার মাশরুমের গুরুত্ব ও মাশরুম চাষের কৌশল বিষয়ে দলভুক্ত কৃষক প্রশিক্ষণে এমন তথ্য উঠে আসে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার আয়োজিত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সাভারের উপপরিচালক ড. ফেরদৌস আহমেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার। সভাপতিত্ব করেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামানিক।
প্রশিক্ষণে ৩০ জন মাশরুম চাষি অংশগ্রহণ করেন।