যেভাবে তৈরি হয়েছে রণবীরের ৫০০ কেজি ওজনের মেশিন গান

পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙা নির্মাণ করেছেন ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর-রাশমিকা মান্দানা। গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় সিনেমাটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এটি।‘অ্যানিমেল’ সিনেমার গল্প, রণবীর কাপুরের অভিনয় যেমন আলোচিত হয়েছে, তেমনি এ সিনেমায় ব্যবহৃত একটি মেশিন গান বিশেষভাবে নজর কেড়েছে দর্শকদের। সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশের পরই আলোচনায় আসে এটি। আর সিনেমা মুক্তির পর এ নিয়ে আরো কৌতূহল বেড়েছে। শুরুতে দর্শকরা ভেবেছিলেন এটি সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ)। কিন্তু তা নয়। বরং এটি বাস্তবে নির্মাণ করা হয়েছে। যার ওজন ৫০০ কেজি। এই মেশিন গান তৈরির পেছনের গল্প শুনিয়েছেন এর ডিজাইনার সুরেশ সেলভাজান ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুরেশ সেলভাজান বলেন, ‘আমরা যখন মেশিন গানটি তৈরি করি, তখন ভাবিনি এটি সফল হবে। আমি সন্দীপের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছু একটা করছিলাম। কিন্তু কখনোই ভাবিনি এভাবে এটি ভাইরাল হবে। আমি যখন প্রথম সন্দীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, তখন সে বলেছিল, স্বাভাবিকের চেয়ে বড় একটি মেশিন গান লাগবে। আমি ভেবেছিলাম, স্বাভাবিকের চেয়ে বড় একটি মেশিন গান তৈরি করতে পারি। কিন্তু পুরো ঘটনা দেখে বলেছিলাম, এটি তৈরিতে ৪-৫ মাস সময় প্রয়োজন। পর্দায় যে মেশিন গানটি দেখেছেন তা তৈরিতে আমার ৫ মাস সময় লেগেছে।’ মেশিন গানটি তৈরিতে ১০০ জন টেকনেশিয়ান ৫ মাস কাজ করেছেন। তা জানিয়ে সুরেশ বলেন, ‘ডিজাইন অনুযায়ী আমরা স্টেপ বাই স্টেপ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা এমন কিছু করতে যাচ্ছিলাম, যা কোথাও পাওয়া যায় না। সুতরাং এটি তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্য কোনো রেফারেন্স পাইনি। ৫০০ কেজি ওজনের মেশিন গানটি তৈরিতে ১০০ জন লোক কাজ করেছে। মেশিন গানটির জন্য ১৫-১৬ হাজার ডামি বুলেট তৈরি করেছি; পুরো মেশিন গানে স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে।’ সন্দীপ এমন একটি মেশিন গান চেয়েছিলো যা দর্শকদের মাঝে প্রভাব ফেলবে। এ তথ্য উল্লেখ করে সুরেশ বলেন, ‘সন্দীপের কাছে এটা পরিষ্কার ছিল যে, আমরা এমন একটি মেশিন গান নির্মাণ করতে যাচ্ছি, যেটা খুব ভারী-বড় হবে এবং মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। মেশিন গান ও টেকনিশিয়ানদের প্রতি সন্দীপ খুব মুগ্ধ ছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে আমিও মুগ্ধ।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top