চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যার ১২ বছর পর যুবকের যাবজ্জীবন

ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ১২ বছর পর হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ আদীব আলী একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে দন্ডাদেশ ঘোষণা করেন। দন্ডিত রশিদ ভোলাহাটের বজরাটেক মুন্সিগঞ্জ গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে। নিহত আনোয়ার ভোলাহাটের পিড়ানচক গ্রামের মৃত আসগার আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণ ও এজাহারসূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) নাজমুল আজম বলেন, ২০১২ সালের ২ আগষ্ট সকালে ভোলাহাটের আলীসাহাসপুর গ্রামের একটি আমবাগানে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ারকে আহত করে রশিদ। এসময় আনোয়ারের সাথে থাকা চরাতে নিয়ে যাওয়া ৩টি গরুও কেড়ে নেয় রশিদ। খবর পেয়ে আনোয়ারকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। ওইদিনই আটক হয় রশিদ। উদ্ধার হয় গরু।
এঘটনায় পরদিন ২০১২ সালের ৩ আগষ্ট ভোলাহাট থানায় রশিদকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন আনোয়ারের বোনজামাই নেজাম আলী। কিন্তু দুদিন পর ২০১২ সালের ৪ আগষ্ট সকালে আনোয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভোলাহাট থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শ (এসআই) সরোয়ার হোসেন ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী রশিদকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৬ জনের সাক্ষী, প্রমাণ ও তদন্তের পর আদালত আজ রশিদকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top