ক্রিকেটার মারুফার জিপিএ-৪.০৬

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৪.০৬ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতার। শুক্রবার (২৮জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এতথ্য জানা গেছে।  বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন মারুফা। মারুফা বলেন, ‌‘খেলা ও অনুশীলনের কারণে পড়াশোনা সেভাবে করতে পারিনি। মনে করেছিলাম পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। কিন্তু আজ রেজাল্ট শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। সবাই দোয়া করবেন খেলাধুলার সঙ্গে যেন পড়াশোনাটাও ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারি।’ মারুফার বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহ বলেন, ‘মেয়ে আমার খেলাধুলা করেও যে রেজাল্ট করেছে তাতে আমি অনেক খুশি। আপনারা দোয়া করবেন আগামী দিনেও সে যেন আরও ভালো রেজাল্ট করতে পারে।’ মারুফার ভাই আল-আমিন ইসলাম বলেন, ‘মারুফাকে আমি সবসময় বলেছি, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও করতে হবে। মারুফা খেলার বেলায় যেমন আমার পরামর্শ মেনে চলে। পড়ালেখার বেলায়ও আমার পরামর্শ মেনে চলেছে। আমি গর্বিত আমার বোনের জন্য।’প্রতিবেশি নুর আলম বলেন, ‘মারুফা পাড়ার বিভিন্ন মাঠে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতো। এলাকার অনেক মানুষ কটু কথা বলতো মারুফাকে নিয়ে। এখন তারাই টিভিতে খেলা দেখে মারুফাকে নিয়ে গর্ব করে।’ মারুফার বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাদিখোল গ্রামের মাস্টার পাড়ায়। অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা পান মারুফা। সম্প্রতি শেষ হওয়া সিরিজেও তার বলের তোপ দেখেছে ভারতীয়রা। প্রথম ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে এই পেসার বড় ভূমিকা রাখেন। তাই তো ভারতীয় ব্যাটার স্মৃতি মান্দানার কণ্ঠেও মারুফাকে নিয়ে প্রশংসা শোনা গেছে। বাংলাদেশ-ভারতের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও দুই উইকেট নিয়েছেন এই তরুণী। অবশ্য ভারতীয় ব্যাটাররা মারুফার ওপর এদিন বেশ চড়াও হয়েছিলেন। তবে শেষ ওভারে যখন ভারতের জয়ের জন্য মাত্র ৩ রান দরকার, তখন নিজের জাত ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন তিনি। দুই রান দেওয়ার পর তৃতীয় বলে ভারতীয় ইনিংসের সর্বশেষ উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মাধ্যমে ড্র নিয়ে সমাপ্ত হয় সিরিজটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top