চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবস্থান ২৪°২২ `হতে ২৪°৫৭ `উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭°৫৫`হতে ৮৮°২৩ `পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এ জেলার পূর্ব দিকে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলা এবং উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আয়তন ১,৭০২.৫৬ বর্গ কিঃমিঃ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫টি উপজেলা রয়েছ। যথা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট এবং ৫টি থানা রয়েছে। যথা- নবাবগঞ্জ থানা, শিবগঞ্জ থানা, গোমস্তাপুর থানা, নাচোল থানা ও ভোলাহাট থানা। পৌরসভা রয়েছে ৪ টি যথা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, রহনপুর ও নাচোল এবং ইউনিয়ন রয়েছে ৪৫ টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রাম রয়েছে ১,১৩৬ টি। মোট ভোটার সংখ্যাঃ ৯,১৮,১৮৪ জন (পুরুষঃ ৪,৪৪,৪৪৭ জন, মহিলাঃ ৪,৭৩,৭৩৭ জন)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচনী আসন ৩টি। যথা-  ৪৩-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ), ৪৪-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর), ৪৫-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর)

জেলায় সাক্ষরতার হার ৬৭%। মোট ৫২ টি কলেজ, ৯২১টি স্কুল, ১৩৪টি মাদ্রাসা, ২টি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ২টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ জেলায় শিক্ষার আলো বিতরণ করছে। তন্মধ্যে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তন্মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪ টি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০৮টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭ টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭০ টি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩১২ টি।

জেলা শহরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ১টি আধুনিক সদর হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় প্রতিটিতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ৪ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। ২০ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমানে ১০৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এ সবের বাইরে ২৪টি বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকও জেলায় কাজ করছে।

জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১,৩৩,০৫৮ হেক্টর। এক ফসলী জমি ১৯,৫২২ হেক্টর, দো-ফসলী জমি ৬৭,৩২৬ হেক্টর এবং তিন-ফসলী জমি ৪৬,২১০ হেক্টর। আমবাগান রয়েছে ২১,৯০০ হেক্টর জমিতে। মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ ০.০৭ হেক্টর। প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, ইক্ষু, গম, পান, তেলবীজ ও ডাল অন্যতম। আম, কুল, পেয়ারা, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ, জাম ও তাল এখানকার প্রধান ফল।

জলবায়ুগত দিক থেকে চরমভাবাপন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে মরুকরণ প্রক্রিয়া দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করছে। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে খরার ফলে এখানকার কৃষিকাজ ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। পাশাপাশি রয়েছে প্রমত্তা পদ্মার ভাঙন। পদ্মার তীব্র ভাঙনের ফলে ইতোমধ্যে বহু আবাদী জমি, লোকালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মায় বিভিন্ন সময়ে জেগে উঠছে বালিময় বিশাল চর। সবকিছু মিলিয়ে নদীতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং মরুকরণ প্রক্রিয়ার ফলে এখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। (তথ্য সূত্র: http://www.chapainawabganj.gov.bd/node/823494)

Scroll to Top