ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের পিচ বদলে ফেলার অভিযোগ

২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগে ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ম্যাচের ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ নাকি বদলে ফেলেছে স্বাগতিকরা।আর এই কাজটি তারা নাকি করেছে আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল অনলাইন’ এর প্রতিবেদনে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শুধু সেমিফাইনাল নয়; ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলে ম্যাচের ভেন্যু আহমেদাবাদের পিচও একইভাবে বদলে ফেলা হবে। যদিও এই মাঠে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচেই আলাদা আলাদা পিচে খেলা হয়েছে। এবারের আসরের পিচ প্রস্তুতের দায়িত্বে ছিলেন আইসিসির উপদেষ্টা অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। পিচের ব্যাপারে তার সঙ্গে আগে থেকেই আলাপ চূড়ান্ত করে রেখেছিল আয়োজক দেশ ভারত। কিন্তু ‘ডেইলি মেইল’ দাবি করেছে, বিশ্বকাপের মাঝপথ সেই চুক্তি থেকে সরে ইচ্ছামতো পিচ বদল করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মূলত ভারতীয় স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দিতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত, দাবি মেইলের। ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর উইকেটে আজ ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত এই পিচে খেলা হয়নি। ডেইলি মেইলের দাবি, বিসিসিআই ও আইসিসির ৫০ জন অফিসিয়াল নিয়ে খোলা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ক্ষুদে বার্তায় জানা যায়, ৭ নম্বর থেকে পিচ সরিয়ে ৬ নম্বরে নিয়ে আসা হয়েছে। যেখানে এর আগে ভারত-শ্রীলংকা এবং ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হয়েছে। ফাইনালেও একই রকম হতে পারে বিধায় অ্যাটকিনসন নিজ উদ্যোগে আহমেদাবাদে গিয়ে পিচ পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন।  

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে হলেও পরের তিন ম্যাচ পূর্বনির্ধারিত পিচে খেলা হয়নি। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটাও নাকি পূর্বনির্ধারিত ৭ নম্বর পিচে হয়নি, খেলা হয়েছে ৫ নম্বর পিচে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাটকিনসন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো মেইলে জানিয়েছেন ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ ছাড়াই পিচ পরিবর্তন করা হয়েছে।  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top