
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং বিকল্প আইন-২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার এই সভার আয়োজন করা হয়। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, মহাখালী ঢাকা এই সভার আয়োজন করে। সভাটি বাস্তবায়ন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস।
দুপুরে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক ডা. মাহমুদুল বাশার, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. জুবায়ের জাহাঙ্গীর, বেসরকারি ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা ডা. গোলাম রাব্বানী, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজীর আনোয়ার ও জুনিয়র বায়োকেমিস্ট্রি ডা. আব্দুল্লাহ ইয়াজদানী, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মুসলেহ উদ্দিন।
মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন।
কর্মশালীয় জানানো হয়, দেশের আইন ও বিধি অনুযায়ী কোনো চিকিৎসক মায়ের বুকের দুধের বিকল্প হিসেবে কোনো কোম্পানির কোনো দুগ্ধজাতীয় খাদ্যের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখতে পারবেন না। শিশুর বিকল্প খাবারের প্রচারও করা যাবে না। জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদের বলতে হবে, মায়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশুকে জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ না খাওয়ালে পরবর্তীতে ডায়রিয়া ও নিওমনিয়াসহ নানান রোগে ভুগতে পারে। তাই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধের কোনো বিকল্প খাবার শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। তবে শিশুর জন্মের পর কোনো মা যদি মারা যায় বা জটিল কোনো রোগে মা আক্রান্ত থাকলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অলিখিত পরামর্শে বিকল্প খাবার খাওয়ানো যাবে। মনে রাখতে হবে, শিশু জন্মগ্রহণের সময় ৭২ ঘণ্টার খাদ্য নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।
কর্মশালায় সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস তিলক, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোসা. শামশুন নাহারসহ চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফারি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।