পুচকে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত বড় দলগুলোর মধ্যে একটি। অন্যদিকে মালয়েশিয়া আইসিসির সহযোগী সদস্য। সেই পুচকে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের সেমিফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝেজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৬ রান তোলে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে মালয়েশিয়া। ২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় সাইফ-আফিফরা। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় রানআউট হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। শূন্য রানে বাংলাদেশের এক উইকেট নেই। এরপর ১ রান নিতেই আরও এক উইকেট হারায়। বিজয় উন্নির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন (০)। 

৩ রানের মাথায় হারায় আরও এক উইকেট। এবার জাকির হাসান (১) আউট হন পবনদীপ সিংয়ের বলে। অর্থাৎ ৩ রানে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। সেখান থেকে অধিনায়ক সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ৪১ রান পর্যন্ত। আফিফ পবনদীপকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জুবাইদি জুলফিকারের হাতে। তিনি ১৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করে যান। এরপর সাইফ এগোতে থাকেন শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে। ৮৬ রানের মাথায় ফেরেন শাহাদাত। ৩ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। সেখান থেকে সাইফ ও জাকের আলী অনিক ইনিংস শেষ করে আসেন। ৫২ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় সাইফের করা ৫০ ও অনিকের ২ চারে করা ১৪ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের মতো শুরুটা ভালো হয়নি মালয়েশিয়ারও। তারা ১৮ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেখান থেকে ছোট্ট একটা প্রতিরোধ গড়ে ৩৮ রান পর্যন্ত যায়। এই রানের মাথায় হারায় চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে আবার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে মালয়েশিয়া।  ৭২ রানের মাথায় গিয়ে দ্রুত দুটি উইকেট হারায় তারা। অর্থাৎ ৭২ রানেই তাদের ৬ উইকেট নাই হয়ে যায়। সেখান থেকে বীরেনদীপ সিংয়ের ব্যাটে বাংলাদেশকে ভয় ধরিয়ে দেয় মালয়েশিয়া। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তিনি আউট হন। ৩৯ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। অবশ্য তার সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচ জেতানোর। কিন্তু শেষের চাপটা নিতে পারেননি তিনি। জিততে শেষ দুই ওভারে অর্থাৎ ১২ বলে ১০ রান দরকার ছিল মালয়েশিয়ার। হাতে ছিল ৪ উইকেট। কিন্তু তারা সেটা নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে আইসিসির সহযোগী দেশটি। তাতে বাংলাদেশ জয় পায় ২ রানে। পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। বল হাতে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি ৪ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। রিপন মন্ডল ৩ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top