
দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্রমহ্রাসমান হার টেনে ধরতে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে মশা নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে জনগণকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গুর সংক্রমণ রোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর। রোববার দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, দেশে জুন মাসে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল ৫ হাজার ৫৬ জন, সে তুলনায় জুলাই মাসের আজকের দিন (৩০ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে জুনের তুলনায় ৭ গুণের বেশি রোগী বেড়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বছরে এখন পর্যন্ত (১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই) মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। শতকরা বিবেচনায় পুরুষ রোগী ৬৪ শতাংশ, আর নারী ৩৬ শতাংশ। মধ্যবয়সী যারা, বিশেষত ১১ থেকে ৫০ বছর বসয়ীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার ভেতরে যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এর মধ্যে একটিতেই প্রচুর সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। সেটি হলো মুগদা হাসপাতাল। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের তুলনায় ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার একটু বেশি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রাজধানীর অনেকগুলো হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে, কিছু হাসপাতালে এখনো খালি আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি, যেন ডেঙ্গুরোগীরা হাসপাতালে গিয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ডা. শাহাদাত হোসেন।