
তিনি বাংলাদেশে এসেছেন আগের দিন দুপুরেই। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচকদের সাথে দল নির্বাচনী সভায় অংশ নেবেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সেটা হবে শেরে বাংলায়। এসব খবর আগেই জানা। যেমন কথা তেমন কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল মাঠে এসে হাজির টাইগারদের হেড কোচ। সেটা যে শুধুই সিলেক্টরদের সাথে দল নির্বাচনী বৈঠকে অংশ নিতে, তা নয়। বাংলাদেশ হেড কোচ সকাল বেলা এসে হাজির আসলে অন্য কারণে। আনুষ্ঠানিক টিম প্র্যাকটিস শুরু না হলেও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত প্রস্তুতির ব্যাপার আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কার কি অবস্থা, কে কি করছে? তা খুঁটিয়ে দেখতেই আসলে হাথুরু বৃহস্পতিবার সকাল বেলা শেরে বাংলার মাঠে এসে হাজির। শিক্ষক আসার আগে মনোযোগী ছাত্রদের কেউ কেউ অনুশীলন শুরুও করে দিয়েছিলেন।
এমন অবস্থায় তাদের এটাওটা দেখাতে হাথুরুও মাঠের মধ্যে চলে আসলেন। চাওর হয়ে গেল, ঢাকা পৌঁছে রাত পার করে পরদিন সকালেই টিমের অনুশীলনে এসে উপস্থিত হেড কোচ।
কেউ কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, ‘এই না বলে দল ঘোষণা হয়নি, তাহলে কিসের অনুশীলন?’ হ্যাঁ, আগেই বলা হয়েছে, যে দল ঘোষণা হয়নি। এখন কি এশিয়া কাপের প্রাথমিক দল না ২০ থেকে ২২ জনের দল দেয়া হবে, তাও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তারপরও মোটামুটি যারা নিশ্চিত তারা অনেকে প্রায় নিয়মিতই অনুশীলন করছেন। আজও সেই ধারাবাহিকতায় তারা প্র্যাকটিসে এসেছেন। তবে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বৃহস্পতিবার তাদের অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পাশাপাশি এর-ওর সাথে কাজও করেছেন।
যদিও এসব কিছুই এ প্রতিবেদনের মূল উপজীব্য বিষয় নয়। অন্য একটি বিষয় আছে। তাহলো, ঘড়ির কাঁটা সকাল ১১টা ছোঁয়ার আগেই হোম অব ক্রিকেটে উপস্থিত সাংবাদিকদের চোখ স্থির হলো মাঠের ভেতর। একি বাংলাদেশ দলে কী কোন নতুন কোচিং স্টাফ যোগ দিলেন নাকি? কোচ হাথুরুর সাথে এটা কে দাঁড়িয়ে? তিনি কে? টিম বাংলাদেশের কোন নতুন ফিজিও, ট্রেনার কিংবা কোচিং স্টাফ?
অনেক কৌতুহলি প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠলো। তিনিও হেড কোচের সাথে এদিক-ওদিক ছোটোছুটি করলেন? সাথে বারবার নানা আলোচনাও করলেন। সব দেখে কৌতুহলের মাত্রাটা দ্বিগুণ হলো সবার।
কিন্তু তাৎক্ষণিক উত্তর মিললো না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মাঠের ভেতর যাকে বাংলাদেশ দলের প্র্যাকটিসের ড্রেস পরা অবস্থায় দেখা গেল তিনি আর কেউ নন, হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেরই ছেলে। বাবার সাথে তিনিও এসেছেন এবার বাংলাদেশে। আজ বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন হাথুরুসিংহে। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্র জানিয়েছে, কোচের ছেলের এমনি এমনিই আসা। মানে বাবার কাজের ক্ষেত্র নিজ চেখে দেখা।
হেড কোচের ছেলে মাঠে বাবার কর্মক্ষেত্র দেখতে আসতেই পারেন। তাতে কোনই সমস্যা নেই। পিতা কোন মাঠে, কাদের অনুশীলন করান? তা স্ব চোখে দেখার আগ্রহ থাকা এবং মাঠে আসা কোনোটাই দোষের না। হাথুরুও নিজের ছেলেকে টিম বাংলাদেশের অনুশীলনে আনতে পারেন।
কিন্তু তার হাতে নোট প্যাড থাকবে কেন? কেনইবা হাথুরুর ছেলের পরনে বাংলাদেশের নীল-আকাশী প্র্যাকটিসের পোশাক? সে প্রশ্ন কিন্তু উঠল। যদিও তার কোন সদুত্তর মেলেনি। তবে কি কোচিং বা সাপোর্টিং স্টাফের অংশ হতে যাচ্ছেন হাথুরুর ছেলে?
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন