চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে নতুন প্রজন্ম : জেলা প্রশাসক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেছেন, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা, প্রযুক্তি মেলা কিংবা বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে এখন সুপরিচিত। এখন এমন একটি যুগ চলছে যে যুগে পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিবে। সেজন্য ফিজিক্যাল, ডিজিটাল ও বায়োলজিক্যাল এই তিনটি অনুষঙ্গের মাধ্যমে তারা নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে আমাদের প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ঘটাবে। সেজন্য তাদের প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকসহ প্রত্যেকটি প্রান্তিক মানুষের কথা চিন্তা করেন। সেই চিন্তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হলে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন হবে এবং এর সুফল জনগণ পাবে। বিদ্যুতের অপচয় রোধে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে, যার যতটুকু দরকার তাকে ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে। অকারণে ফ্যান লাইট কিংবা এসি চালিয়ে রাখা উচিত হবে না। এ ব্যাপারে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা তাদের মা বাবাকে সচেতন করবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে। তিনি ২১০০ সালের বদীপ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক আয়োজিত ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রুহুল আমিন, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসা. হাসনেয়াতুন নেসা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর নেমে যাওয়া, আর্সেনিক, পানি ও বিদ্যুতের অপচয়, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ভূ-গভের পানির ওপর চাপ কমাতে নদী, খাল, বিলের পানি ব্যবহার, সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন, ইন্টারনেটে শিশু কিশোরদের আসক্তি, ফাস্টফুডের ক্ষতিকারক দিকসহ নানান বিষয় উঠে আসে আলোচনায়।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও মেলায় জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীরা পানি অপচয় রোধ, মাল্টিপারপাস ড্রোন,পলিথিন বর্জ্য থেকে রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী তৈরী, সৌরবিদ্যুৎসহ নিজেদের উদ্ভাাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন।
প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মেলায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকেলে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top